আনলিমিটেড নিউজ ডেস্কঃ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মুর্হুমুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে তেহরান।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) গভীর রাতে দেশটির রাজধানী তেহরান ও কারাজ শহরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, তেহরান এবং কারাজ শহরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিম এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের অনেকগুলো সামরিক স্থাপনা ও ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, তেহরানে তারা মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছে। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠেছে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের দাবি, আকস্মিক এই হামলা জনগণের মধ্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। সাধারণ লোকজনের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গণমাধ্যমে। তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর ইমাম খোমেনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রয়ত্ব টেলিভিশন চ্যানেল। সেখানে দেখানো হয়েছে, সাধারণ যাত্রীরা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে বিমানবন্দরে চলাচল করছেন।
হামলার পর ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইল কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার জবাবে, এই মুহূর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।’
ইরানে ইসরাইলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এটি গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।
প্রসঙ্গত, গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে ইসরাইলি শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়ে আসছিলেন।
Leave a Reply