আনলিমিটেড নিউজ ডেস্কঃ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে যেতে চললেও এখন পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়েননি আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ মোড়ের চারপাশ গোল করে বসে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। যার ফলে রাস্তার দুই পাশে শত-শত যানবাহনের চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৫ প্রত্যাশীরা আশানুরূপ সাড়া না পাওয়াতে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি প্রবাসীকল্যাণ ভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পৌনে ৭টার দিকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের অন্যতম সংগঠক রাসেল আল মাহমুদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা আশ্বাস না পাওয়ায় আমরা ৫টা পর্যন্ত আমরা সময় বাড়াই। আমরা কূটনৈতিক আলোচনা করে কোনো বিশ্বস্ত আশ্বাস হওয়ায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের জানিয়েছিল আমাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তারা আলোচনা শেষে এখানে এসে আশ্বাস দেবেন। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গেছে, তাই আমাদের প্রতিনিধি দল প্রবাসীকল্যাণ ভবনে যাব স্মারকলিপি নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাইব সেখান থেকে একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসে বিশ্বস্ত আশ্বাসের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আমাদের সঙ্গে আসিফ নজরুল স্যারের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে (প্রবাসীকল্যাণ ভবন) আমরা আমাদের দাবি জানাতে যাব। সেখান থেকে এসে আমরা কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করব।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের শাহবাগে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এসময় আন্দোলনকারীরা ‘বয়স না মেধা-মেধা মেধা’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ-এবার দাও প্রজ্ঞাপন’, ‘৩৫ এর শৃঙ্খল-ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শিক্ষার্থী মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে সারাদেশ থেকে এসে চাকরি প্রত্যাশীরা অংশ নেন। কর্মসূচির একপর্যায়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন। এসময় চারপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হালকা কোনো যানবাহন চলাচলের চেষ্টা করলে সেগুলোও ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীরা। যানবাহন না পেয়ে, অনেক পথচারীই পায়ে হেঁটে গন্তব্য পৌঁছচ্ছেন কেউবা মেট্রো বেছে নিচ্ছে।
এর আগে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের ব্যানারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা। যেখানে তারা সাতটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। সেগুলো হলো—১ম শ্রেণি ও ২য় শ্রেণি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর; ৩য় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর; সব প্রকার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত; সব প্রকার স্বাস্থ্য, চিকিৎসা নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত; সব প্রকার আইসিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত; সব প্রকার আইন (জেডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত; এছাড়া জরিপের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত।
Leave a Reply