আনলিমিটেড নিউজঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির চলমান অবরোধ-হরতাল নিয়ে বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন লন্ডনে পলাতক দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর ফলে বিএনপিতে বড় বিভক্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানসহ নীতি-নির্ধারকরা।
বৈঠকে বিএনপির চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে জানিয়ে তারেক রহমানকে এসব কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বলেন মঈন-নজরুলরা। কিন্তু তারেক রহমান নির্বাচন পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। এক পর্যায়ে এ নিয়ে মঈন-নজরুলদের সঙ্গে বাক্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
চলমান আন্দোলন-কর্মসূচির কৌশলকে অর্থহীন অভিহিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আন্দোলনের ফলে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে না। বরং জনগণ থেকে বিএনপি আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এবার কোথাও অবরোধের ছাপ নেই। অবরোধ দিয়ে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না, জনগণের কাছেও যাওয়া যাবে না।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানও বলেন, অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এ ধরনের কর্মসূচির ফলে পশ্চিমাদের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এসব অর্থহীন কর্মসূচি বন্ধ করা উচিত।
এ সময় তারেক রহমান এই দুই নেতাকে ধমক দিয়ে বলেন, আপনারা রাজপথে নামেন না কেন? আপনাদের অবরোধে দেখা যায় না কেন? সিনিয়র নেতারা যদি অবরোধে পিকেটিং না করে তাহলে তাদের পদে থাকার দরকার কী? এরপর ড. আব্দুল মঈন খান বৈঠক থেকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর নজরুল ইসলাম খানও চলে যান।
বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারাও মনে করছেন, অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি ক্রমেই অকার্যকর হয়ে পড়ছে। সিনিয়র নেতারা মাঠে থাকেন না। জনগণের কাছে বিএনপি মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। এতে তৃণমূল কর্মীরা দিনদিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। এরই মধ্যে অনেকে হতাশ হয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
Leave a Reply