আনলিমিটেড নিউজ ডেস্কঃ রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট জিতে আগেই ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এবার সিরিজ জেতার হাতছানি টাইগারদের সামনে। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণভাবে এগোচ্ছিল শান্তর দল। এর মাঝে বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনের খেলা আগেই সমাপ্ত হয়েছে। ফলে লাল-সবুজদের ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা গড়ালো পঞ্চম দিনে।
প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অল আউট হওয়া পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৭২ রানে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান করা বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে করতে হবে ১৮৫ রান। সে লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে টাইগাররা। এরপরই অন্ধকার নেমে আসে। একটু পর শুরু হয় বৃষ্টি। যার ফলে আজ আর খেলা হয়নি। ইতিহাস তৈরিতে প্রয়োজন আর ১৪৩ রান।
রান তাড়া করতে নেমে আজ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছেন জাকির হাসান। খেলা বন্ধের আগে মাত্র ২৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। অন্যপ্রান্তে আরেক ওপেনার সাদমান ১৯ বলে ৯ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে চতুর্থ দিন ওপেনার সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। তাকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ। ফুল লেন্থের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অনে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ক্যাচে ২০ রানে ফেরেন সাইম।
বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই সাফল্য পান নাহিদ রানা। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থ ডেলিভারিটি স্কয়ারের উপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন ৩৪ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করা মাসুদ। বল ব্যাটের কোণায় লেগে তা লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হয়।
এরপর রানা তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বাবর আজমকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন। সাবেক পাক অধিনায়ক ১১ রান করে প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়েন। ক্রিজে নেমেই জীবন পান রিজওয়ান। আগেরবার পারলেও এবার ক্যাচ মিস করেন সাদমান।
নাহিদ রানার ব্যাক অব লেন্থের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন ২ রান করা সৌদ শাকিল। বল তার ব্যাটে লেগে সরাসরি লিটন দাসের দস্তানায় চলে যায়। এতে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মাত্র তিন ওভারেই প্রতিপক্ষের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে বল হাতে রুদ্ররূপ ধারণ করেন রানা। তবে রানের খাতা খোলার আগে জীবন পাওয়া রিজওয়ান ও সালমান সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা।
বিরতির পর ফিরেই সাফল্যের দেখা পান হাসান মাহমুদ। তার শিকার হয়ে ৪৩ রানে আউট হন রিজওয়ান। একইসঙ্গে ভাঙে ৫৫ রানের জুটি। পরের বলে মোহাম্মদ আলীকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেই স্বাদ পাননি হাসান।
আবরার আহমেদকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেটের দেখা পান নাহিদ রানা। এরপর হাসান আর তার মাঝে চলে ফাইফার পাওয়ার ইঁদুর দৌড়। সেখানে সফল হন হাসান। সালমান আঘা একপ্রান্তে বেশ চিন্তার কারণ হলেও সুযোগ পেয়েই মীর হামজাকে আউট করেন এ পেসার।
সালমান ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। হাসান পাঁচটি, নাহিদ চারটি ও বাকি একটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
Leave a Reply