আনলিমিটেড নিউজঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে আজ ২৯ জুন, সকাল ১১:৩০ টায়, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ২য় তলায়, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে কর্মীসভার মাধ্যমে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম।
কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সভাপতিত্ব করেন-মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সঞ্চালনা করেন- এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেন- আজকের এই সাংগঠনিক কার্যক্রম সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা চিহ্নিত গণতন্ত্রের শত্রু, চিহ্নিত সাম্প্রদায়িকের মিত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের যাদের সবসময়ই বসবাস সেই বিএনপিদের অশুভ রাজনীতিকে রুখে দিতে এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায়, গণতান্ত্রিক পরিশিলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে আমাদের আস্থার ঠিকানা এবং অফুরন্ত প্রেরণার উৎসস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে সেই বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করার ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে আমি মনে করি আজকের এই কর্মীসভার গুরত্ব অপরীসিম এবং অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন-বাংলাদেশের বিপক্ষে যারা ষড়যন্ত্র করে, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে লক্ষ্যে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে সংগ্রাম আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার সেই সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করা এবং দেশকে আবার অন্ধকারে ডুবে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামাত। তাদের সাথে কারা আছে সাম্প্রদায়িক শক্তি, আর কারা আছে চিহ্নিত ৭১’-এর রাজাকার, আলবদর এবং ’৭১-এ যারা বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অস্ত্র তুলে আমাদের মা-বোনদেরকে সম্মানহানী করিয়েছে, হত্যা করেছে, আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্পৃক্ত মানুষকে হত্যা করেছে সেই জামাত-বিএনপি, শিবির, রাজাকাররা, যুদ্ধাপরাধীরা।
তিনি আরও বলেন, আজকে সময় এসেছে, প্রতিটি মুহূর্তে আমাদেরকে বিএনপি-জামাতকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবলীগ দেশরত্ন শেখ হাসিনার একটি বিশ্বস্ত, সাহসী ভ্যানগার্ড সংগঠন। আপনারা লড়াই করে, সংগ্রাম করে আপনাদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন যুবলীগের পতাকাকে আপনারা তুলে ধরেছেন। আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার ছাত্রলীগের সাহসী নেতা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বর্তমান যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের পিতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি। আপনারা আমাদের মণি ভাইয়ের নেতৃত্বে যে যুবলীগের সৃষ্টি হয়েছিল জাতির পিতার পরামর্শে সেই যুবলীগ জাতির পিতার রেখে যাওয়া স্বপ্নের সোনার বাংলাকে পুনর্গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এটা ইতিহাস, সেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজকের যুবলীগ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অন্যতম সংগ্রামী হাতিয়ার, অন্যতম আদর্শের সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, আজকে নিজের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে কি করতে হবে সেই কাজটিই আপনারা করছেন। এই কাজটি আরো বেশি করে করতে হবে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, শুধু বক্তৃতা দিয়ে নয় কাজ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। আপনারা কাজ করতে পারেন, আপনারা সংগ্রাম করেছেন, আপনাদের ঐতিহ্য আছে, সংগঠনকে কিভাবে শক্তিশালী করতে হয় সেই মৃধা শক্তি, কৌশল আপনাদের আছে। তিনি বলেন-ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করবে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে পরাস্ত করতে হবে। সেই জন্য আপনাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী থাকলে কোন ষড়যন্ত্রেই কাজে দিবে না। আজকে আপনারা শোনেন, জানেন আমরাও বলি শেখ হাসিনার বিপক্ষেই সকল ষড়যন্ত্র।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন-আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আপনারা বিএনপি-জামাতের যে সকল ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত হয়েছে, সরকার পতন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যাকে পদত্যাগ করা ও তাকে হত্যা করার বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। সেই সব ষড়যন্ত্র ঢাকা মহানগর যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী সেদিন রাজপথ দখলে নিয়েছিলেন, লড়াই-সংগ্রামে বিএনপিকে পরাস্ত করেছেন এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছেন। সেই জন্য আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের অবদান, আপনাদের শ্রম, আপনাদের দলের প্রতি যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতি আপনাদের যে বিশ্বাস ও আস্থা তাতে সে অনেক খুশি। সকল ষড়যন্ত্র দিয়ে আপনাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি বলেন-আজকে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম বিষয়টি আমাদের পরিষ্কারভাবে জানা দরকার আমরা কি সভা-সমাবেশ করে লোক দেখানো সদস্য সংগ্রহ করছি না তো? সেটা যেন আমরা না করি। লোক দেখানো কোন কর্মসূচি আমরা পালন করবো না। এটা ধোকা দেওয়ার সামিল। এবিষয়ে আপনাদের আন্তরিক হতে হবে, আন্তরিক হয়ে একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক তৈরী করবেন এটাই আমাদের বিশ্বাস।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, আবু মনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানাসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply