আনলিমিটেড নিউজঃ সম্প্রতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশ্ন ফাসের ঘটনায় সোসাইটির ডিসিআরএম বিভাগের ডিরেক্টরক ইমাম জাফর শিকদারকে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে৷
বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে জানাগেছে, যে প্রশ্নপত্রটি ফাসঁ হয়েছে, সেটি ছিল একটি ড্রাফট প্রশ্ন। এমন ড্রাফট প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আড়াই ঘন্টা আগে পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার ছাড়াও এইচ.আর.ডি ডিপার্টমেন্ট ও পার্টনারদের একটি ড্রাফট কপি মেইল যোগে পাঠানো হয়েছে উপ-মহাসচিব সুলতান আহম্মেদ বরাবরে৷ এরপর DSG এর পক্ষ থেকেই চুড়ান্ত প্রশ্ন তৈরি করে পরিক্ষার্থীদের পরিক্ষা নেওয়া হয়।
তবে যে প্রশ্নটি ফাসের কথা বলা হয়েছে, সেই প্রশ্নের বিষয়ে অভিযুক্ত ইমাম জাফর শিকদার বলেছেন, আমি ড্রাফট প্রশ্নটি আমার অফিসিয়াল মেইলের মাধ্যেম শুধু সুলতান আহম্মেদ বরাবরেই পাঠিয়েছি৷ তিনি দাবী করেন, অভিযোগের বিষয়ে যে তথ্যটি আমি জানতে পেরেছি, সেমতে সেই শিক্ষার্থী যে মেইলের মাধ্যমে আমি প্রশ্ন পাঠিয়েছি; সেই মেইলটি যাচাই করলেই তো হয়; সেটি আমার অথেনটিক মেইল কিনা! সেটা যাচাই করলেই আশা করি সত্যতা বের হয়ে আসবে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এর পরিচালক ইমাম জাফর শিকদারের ব্যবহৃত মেইল থেকেই প্রশ্ন ফাঁস অভিযোগে ধরা পড়া পরিক্ষার্থীর মেইলে প্রশ্ন পেয়েছে, সেটা কি ভাবে নিশ্চিত হয়েছেন এবং আপনার দফতর থেকে প্রশ্নপত্র ফাসঁ হয়নি সেটা কিভাবে বুঝলেন, এমন প্রশ্ন জানতে একাধিক বার ফোনে যুক্ত করার চেষ্টা করা হলেও উপ-মহাসচিব সুলতান আহম্মেদ এর সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
এবিষয়ে যেহেতু তদন্ত হচ্ছে, তাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন ঊর্ধ্বতর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইমাম জাফর শিকদারের বিষটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। আমর মাথায় আসেনা কিভাবে অফিস আদেশের মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে যায়৷ এছাড়া এও বুঝতেছিনা যে পরিক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে; এবং সে নাকি বলেছেন ইমাম জাফর তার মেইলে পাঠিয়েছে; তাহলে সেটা বের করতে এত সময় কেন লাগবে। এছাড়াও সর্বশেষ জানতে পেরেছি সেই অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা৷ এ থেকে স্পষ্টই বোঝাযাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন করতে সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ কমকর্তাদের বিতর্কিত করার প্রচেষ্টা চলছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেকেই আমার কাছে ফোন করে জানিয়েছেন, ইয়াম জাফর এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সাবেক চাকরিচ্যুত এক কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান, বর্তমান গভর্নিং বডির সম্মানিত চেয়ারম্যান সহ অনন্যরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যাতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানিত হয়। সে ক্ষেত্রে সোসাইটির সম্মান যদি কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দফতর সূত্রে যানাগেছে, যে কোন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট কোন একজন করে না, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন সেট তৈরী করে নিয়োগ কমিটির প্রধানকে পাঠায় এবং নিয়োগ কমিটির প্রধান ছাড়া কেউ জানেনা যে কোন সেট দিয়ে পরীক্ষা নিবে যার কারনে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন হতে পারে। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না করেই বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি এই প্রশ্ন ফাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কারন, পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার পুরো রেড ক্রিসেন্টে জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নতুন গর্ভানিং বোর্ড এবং চেয়ারম্যান এর কাছে খারাপ ভাবে পরিচিত করানো।
Leave a Reply