1. admin@unlimitednews24.com : Un24admin :
প্রার্থিতা বাতিলের পরও মঠবাড়িয়ায় রিয়াজ উদ্দিনের ছায়া!
November 23, 2024, 2:01 pm

প্রার্থিতা বাতিলের পরও মঠবাড়িয়ায় রিয়াজ উদ্দিনের ছায়া!

  • Update Time : Saturday, May 25, 2024
  • 114
প্রার্থিতা বাতিলের পরও মঠবাড়িয়ায় রিয়াজ উদ্দিনের ছায়া!
প্রার্থিতা বাতিলের পরও মঠবাড়িয়ায় রিয়াজ উদ্দিনের ছায়া!

আনলিমিটেড নিউজঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিলের পরও সভা ডেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার আনারস মার্কার এই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে শুক্রবার সকালেও মঠবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা এবং বাজারে তার প্রচার ও লিফলেট বিলি করতে দেখা গেছে কর্মী-সমর্থকদের।

দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী বায়জিদ আহমেদ খান অভিযোগ করেন, রিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদের আপন বড় ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান মঠবাড়িয়ার বর্তমান সংসদ সদস্য ভাই শামীম শাহনেওয়াজের ক্ষমতাকেও কাজে লাগাচ্ছে।

তিনি একের পর এক আক্রমণাত্মক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ বায়জিদ আহমেদের।

২৯ মে তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে গত ১৩ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক দেওয়া হয়।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ, ওই দিন ইসির আদেশ অমান্য করে উপজেলা শহরের মধ্যে লাঠির মাথায় আনারস নিয়ে রিয়াজ আহম্মেদের পক্ষে সমাবেশ করা হয়। এ সময় আনারস মার্কার কর্মীদের সাড়ে তিন হাত বাঁশের লাঠি তৈরি করে রাখার নির্দেশ দেন ভাই আশরাফ।

তার উস্কানিমূলক বক্তব্য ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন প্রথমে পিরোজপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুনানি করে।

শুনানিতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজকে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ডাকা হয়। সেখানেও শুনানিতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় বিষয়টিকে বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

এর পরপরই রাতেই উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের আমরাগাছিয়া বাজারে দোয়াত-কলম মার্কায় প্রতীকের প্রার্থী বায়জিদ আহমেদ খানের নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

এর পরও থেমে থাকেননি চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন ও তার ভাই আশরাফুর রহমান।

প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর প্রচারণা বন্ধ না করে উল্টো ওইদিন রাত ৯টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরপুল বাজারের মাঠে আনারস মার্কার পক্ষে বড় ধরনের সমাবেশ করেন আশরাফুর রহমান।

এ সময় তিনি বিরোধী পক্ষকে উদ্দেশ করে নানা ধরনের আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘অপশক্তি আখ্যা দিয়ে’ নেতাকর্মীদের বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন আশরাফুর রহমান।

বাঁশের লাঠি নিয়ে মঠবাড়িয়াকে নতুন করে স্বাধীন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নিজের বড় ভাই শামীম শাহনেওয়াজকে মাত্র ১৫ দিনে কলার ছড়ি মার্কায় সংসদ সদস্য বানিয়েছেন দাবি করে আশরাফুর রহমান বলেন, আমাদের এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান হতে বছরের পর বছর লাগে না।

এদিকে, স্থানীয় ভোটার খলিলুর রহমানের অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট কেটে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন আশরাফুর রহমান। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বড় ভাইকে মাঠে নামান আশরাফ। প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার ভাইকে এমপি বানান।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধুবি রায় বলেন, গত রাতে সভা করা বা হুমকি দেওয়ার বিষয় কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 unlimitednews24
Web Design By Best Web BD