1. admin@unlimitednews24.com : Un24admin :
বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
October 23, 2024, 5:30 am

বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

  • Update Time : Tuesday, April 23, 2024
  • 43
বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

আনলিমিটেড নিউজঃ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশ কুয়েতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ২০২৪ সালে ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে বাংলাদশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তার বাণীতে প্রথমেই কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের যে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল তা চমৎকারভাবে বজায় রাখার জন্য কুয়েতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি কুয়েতের বর্তমান এবং পূর্বে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা বাংলাদেশের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছেন তা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহকে অভিবাদন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মানবসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, বিনিয়োগ এবং অর্থসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত পাঁচ দশকে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এটাও তিনি তার বাণীতে উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বাণীতে বলেছেন, কুয়েত প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগ এবং কৃষি খাতের প্রকল্পগুলোতে কুয়েত তহবিলের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হয়েছে।

বাংলাদেশ-কুয়েত কূটনৈতিক সম্পর্ক

বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম-সামিটের সাইড-লাইনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এবং কুয়েত সরকার প্রধানের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকের পরে একই বছরের ৪ নভেম্বর এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় আরবদের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন কুয়েতের জনগণের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো বৃদ্ধি করেছিল।

কুয়েতের বৈদেশিক নীতির অন্যতম প্রধান দিক হলো সারা বিশ্বে তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানো। এই সহায়তার অর্ন্তভুক্ত থাকে ঋণ এবং অনুদানের মতো বিষয়গুলো, যা গ্রহীতা দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং বিভিন্ন খাতে অগ্রগতির জন্য ব্যয় করা হয়।

১৯৭৪ সালে কুয়েত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, কুয়েত সদ্য স্বাধীন দেশটিকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করে। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সব ধরনের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়। কুয়েত তহবিল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগ এবং কৃষি খাতে বিভিন্ন সময়ে ঋণ প্রদান করেছে। এ পর্যন্ত কুয়েত তিন দশকের ব্যবধানে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ প্রদান করেছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদে ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে কুয়েত সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী কুয়েতের আমিরের আমন্ত্রণে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি সরকারি সফর করেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদার করেছে।

বাংলাদেশ সরকার এবং কুয়েত বিমান পরিবহন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, জনশক্তিতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, ভিসা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য যৌথ কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চুক্তি/এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।

বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা খুবই উল্লেখযোগ্য। দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয় যখন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী কুয়েতকে ইরাকি আক্রমণ থেকে মুক্ত করার অভিযানে অংশ নেয়। বাংলাদেশের সামরিক কর্মীরা গত ২৬ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুয়েতকে পুনর্গঠন করছে। বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টের (বিএমসি) প্রায় ৬,০০০ সদস্য বর্তমানে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে অপারেশন কুয়েত পুর্নগঠন (ওকেপি) নামে একটি প্রকল্পে কাজ করছে।

রূপকল্প ২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১-এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের জন্য বাংলাদেশ কুয়েতের সঙ্গে কাজ করার জন্য উম্মুখ। বন্ধু দেশ কুয়েতও এই দিকটি মাথায় রেখে প্রায় তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক এর জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 unlimitednews24
Web Design By Best Web BD