আনলিমিটেড নিউজ: লক্ষ্মীপুরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে ২০১৭ সাল থেকে। ঐ বছরের ১৪ মার্চ জেলাটি সফরে এসে ২৭টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শুরু হয় একের পর এক উন্নয়ন। স্থাপিত হয় নানন্দিক স্থাপনাগুলো। বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে হয়েছে অসংখ্য কাজ। স্বাধীনতার পর এটি উন্নয়নের রেকর্ড বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় জনসাধারণ ও সচেতন মহল।
জানা যায়, সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুরে উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত ও বাসস্থানসহ সব মৌলিক চাহিদা পূরণে সফল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া হয়েছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ-মন্দির, পর্যটন কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নানামুখী উন্নয়ন। এর আগে আর কোনো সরকারের আমলে এতো উন্নয়ন দেখেনি লক্ষ্মীপুরবাসী।
জেলায় এরমধ্যে স্থাপিত হয়েছে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভবন, সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম, কমলনগর উপজেলা পরিষদ ভবন, কমলনগর উপজেলা অডিটোরিয়াম, লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্র, কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও প্রাণী হাসপাতাল। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, প্রশাসনিক ভবন ও মজু চৌধুরীর হাটে কোস্টগার্ড নাবিক নিবাস, পুলিশ অফিসার্স মেস, লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, লক্ষ্মীপুর খাদ্যগুদামে ৫০০ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন গুদাম, রামগঞ্জ উপজেলায় ১৩২-৩৩ কেবি গ্রিড উপকেন্দ্রের কাজ।
এছাড়াও নির্মাণ হয়েছে পিয়ারাপুর সেতু, চেউয়াখালী সেতু, জেলা পৌর আধুনিক বিপণিবিতান, রামগঞ্জে আনসার ও ভিডিপি সদর দফতর কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীপুর পৌর আজিম শাহ (রা.) হকার্স মার্কেট, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ একাডেমিক ভবন-কাম-পরীক্ষা কেন্দ্র, পুলিশ লাইন্স মহিলা ব্যারাক, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কে পিসি গার্ডার সেতু, রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, কমলনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কাজ। চলমান রয়েছে মজু চৌধুরীর হাটে নৌ-বন্দর, রামগতি-কমলনগর নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ, লক্ষ্মীপুর পৌর শহর সংযোগ সড়কের উন্নয়ন কাজসহ দৃশ্যমান অসংখ্য কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতেও হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। গ্রামঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয়েছে বাড়ি।
লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারা হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর জেলায় দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট ২৫টি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। এক কথায় সব খাতে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।
লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর ও সদর আংশিক আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। স্বাধীনতার পর থেকে যে উন্নয়ন হয়নি, তা হয়েছে গত ১৫ বছরে। নদী শাসন ও রাস্তা-ঘাটসহ সব সেক্টরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, সরকারের দেওয়া প্রকল্পগুলো যখন শতভাগ বাস্তবায়ন হবে, তখন লক্ষ্মীপুর হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অন্যতম জেলা। লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় চলছে প্রায় শত কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। এছাড়া চন্দ্রগঞ্জ থানা এবং চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামীতেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে এবং আবারো ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
Leave a Reply