আনলিমিটেড নিউজ: ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় ছয় বছর পর আশুলিয়া অংশে দৃশ্যমান হচ্ছে খুঁটি।
সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেডসংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত উন্নয়ন করতে ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালপথ নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ-ছয়টি জেলার মানুষ আশুলিয়া-নবীনগর-বাইপাইল হয়ে সহজে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০টি জেলার আনুমানিক চার কোটি মানুষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে লাভবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গত সোমবার রাজধানী উত্তরার আবদুল্লাপুর, কামারপাড়া, ধোউর, আশুলিয়া, জিরাবো, বাইপাইলসহ প্রকল্পের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকেরা দিন-রাত প্ররিশ্রম করে যাচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় মাটি কাটার কাজ, মাটি ভরাটের কাজ, কিছু জায়গায় পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। আব্দুল্লাহপুরে বড় একটি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বিশাল শক্ত এই খুঁটির উচ্চতা হবে ৪০ মিটার। আশুলিয়ার চার লেনের সড়কের উপর যে উড়ালপথটি নির্মাণ করা হবে, এই খুঁটির উপর ভর করে ঢাকামুখী প্রবেশ করবে।
দেশের উত্তর বঙ্গ থেকে আসা রহিম শেখ নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেডসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, পুরো পথের নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার ভেতর বড় গাড়ির চাপ কমবে। খুব দরকার না হলে আন্তঃজেলার বাসগুলো ঢাকার সড়কে নামতে হবে না।
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি কোম্পানির পরিচালন ও অবকাঠামো বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক গু ফেং বলেন, এই অঞ্চলে সড়কে বিদ্যুতের প্রচুর তার রয়েছে। চাইলেই এগুলো দ্রুত অপসারণ করা যাচ্ছে না। আবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেও কাজ করা যায় না।
নিচের সড়ক খুব আঁকাবাঁকা উল্লেখ করে গু ফেং বলেন, প্রকল্পের জমি বুঝে পাওয়াও কঠিন। নিচে আঁকাবাঁকা থাকলেও উড়ালপথ সোজা হতে হবে। তাই নিচের সড়কও সোজা করা গুরুত্বপূর্ণ। মাটির নিচে ইউটিলিটি লাইন অপসারণ করা চ্যালেঞ্জ। কোনো কিছুই গোছানো নয়। আবার মূল পথের কাজ শুরু করার আগে বাইপাস (গাড়ি চলাচলের বিকল্প পথ) সড়ক তৈরি করে দিতে হচ্ছে। যেন ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক থাকে।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এরই মধ্যে ৯.৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। কাজের গতি এখন ভালো। এই অবস্থা থাকলে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
Leave a Reply