আনলিমিটেড নিউজঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমার আঘাতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এতে দুজন মারা গেলেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কৃষক হারুন ঢালী (৪০)।
নিহত হারুন ঢালী কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের তিথিরচর গ্রামের আব্দুল সাত্তার ঢালীর ছেলে। এর আগে ওই ঘটনায় নিহত আরেক কৃষক মোদাচ্ছের শিকদারের (৪৫) বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামে।
তবে বোমার আঘাতে নিহতের ঘটনা নিয়ে ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কেউ কেউ জানায়, গত ২৬ মার্চ দুপুরে কালকিনির নতুন চর দৌলতখান এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে কয়েকজন বসে হাতাবোমা বানাচ্ছিল। এ সময় একটি হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোদাচ্ছের শিকদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে কালকিনি থানা পুলিশ। পরে আহত দুজনকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় হারুন ঢালী।
এ ঘটনায় আগে নিহত মোদাচ্ছের সিকদারের চাচাতো ভাই দাদন সিকদার জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনির পার্শ্ববর্তী বরিশালের মুলাদীতে কয়েকদিন আগে হাজী গ্রুপ ও আকন গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের একপর্যায়ে হাজী গ্রুপের ছোড়া বোমার আঘাতে আকন গ্রুপের মোদাচ্ছের শিকদার নিহত হন। এসময় বোমার আঘাতে আকন গ্রুপের হারুন ঢালী, মাসুদ ঢালী, রমজান খান, তোফাজ্জল হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে, নিহত হারুন ঢালীর লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানা গেছে। বোমার আঘাতে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হারুন ঢালী মারা যাবার খবর লোকমুখে শুনেছি। এর আগে এই ঘটনায় আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি মামলা করেছে। তবে নিহতদের ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।
Leave a Reply