আনলিমিটেড নিউজঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ও মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রুটে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই রুটের ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত শেষে সকাল সোয়া ৬টার দিকে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ক্ষতিগ্রস্ত অপর লাইনটির কাজও চলছে।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।
তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা সেকশনে এখনও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চিত্রা এক্সপ্রেস মাঝগ্রামে রাত ১২টা ৫০ মিনিট, ডাউন সীমান্ত আব্দুলপুরে রাত ১২টা ৫৩ মিনিট এবং আপ সীমান্ত ভেড়ামারায় রাত ১টা ১৩ মিনিট থেকে দাঁড়িয়ে আছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী রেল ইয়ার্ড থেকে মালবাহী ট্রেনের শানটিং চলছিল। ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ড থেকে অপর আরেকটি তেলবাহী ট্রেন (ফাঁকা) পশান অর্ডার মনে করে ভুলবশত (লাইন ক্লিয়ার পেয়েছে মনে করে) খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে। এতে মালবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে মালবাহী ট্রেনের একটি ওয়াগনের চার চাকা তেলবাহী ট্রেনের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের ছয় চাকা লাইনচ্যুত হয়।
Leave a Reply