আনলিমিটেড নিউজঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার।
রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইজুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে তার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে আমিনুল ইসলাম ত্রিশাল পৌর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলার চরম পরিপন্থী। ত্রিশাল পৌর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি আমাদের গোচরীভূত না হওয়ায় আমরা যথাসময়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারিনি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হলো।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় নির্দেশনা অমান্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামানের স্ত্রী শামীমা আক্তারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার।
তিনি নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীমা আক্তার জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৫ ভোট। আরেক প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর নূরুল হুদা শিবলু মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৯৭ ভোট। উপনির্বাচনে ১৬ হাজার ৫২৫ ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটের শতকরা ৫৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে অংশ নিতে মেয়রের পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবিএম আনিছুজ্জামান। পরে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। যে কারণে ওই পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
Leave a Reply