আনলিমিটেড নিউজঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ক্ষুদ্র কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে। ডিম, ব্রয়লার মুরগির মতো গোটা চালের বাজারও এসএমএস’র মাধ্যমে অস্থির করে দেওয়া হচ্ছে। এটা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। জোটবদ্ধ হয়ে পণ্যের দাম বাড়ানো বন্ধ করা হবে।
শনিবার বরিশালের ফরিয়াপট্টি, চকবাজারের পাইকারি বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, মোকামে চালের দাম বাড়ানোর পেছনে একটি চক্র ‘সারা দেশে ধানের দাম বেড়েছে’ বলে প্রচার করেছে। ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে সেই চালটা তো দুই মাস পরে বাজারে আসবে। এখন ৪ টাকা বেশি দামে যে চালটা পাওয়া যাচ্ছে সেই ধানের তো দাম বাড়েনি। বাজারে বর্তমানে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে সেই ধান আগেই কিনে মাড়াই করে বিভিন্ন জায়গায় স্টক করে রাখা। সুতরাং ধানের বাড়তি দামের অজুহাতে হঠাৎ চালের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারা যেন তদন্ত করে দেখেন আগের কম দামের কেনা চাল স্টক করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে কিনা। স্টকের চাল যদি বাড়তি দামে বিক্রি হয় সেটাও একটি বড় ঘাপলা।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, দেশের যেসব জায়গায় পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রি হচ্ছে সেখান থেকে আমরা তথ্য নিচ্ছি। যেখান থেকে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে তদন্ত করবো। ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনে সিলগালা করে দেব, আইনের আওতায় নেব।
রমজান উপলক্ষে ডাল, চিনি, তেলসহ রমজানের পণ্য নিয়ে কেউ যেন কারসাজি না করতে পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply