আনলিমিটেড ডেস্ক নিউজঃ ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে বিশ্বব্যাপী সমর্থন হারাচ্ছে ইসরায়েল।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণের কারণে ইসরায়েল বৈশ্বিক সমর্থন হারাতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে দাতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময এই মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ইসরায়েলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তার সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের কারণে নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির জেরে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়লেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে অটল সমর্থন দিয়ে গেছেন।
এমনকি ইসরায়েল মার্কিন সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি এদিন বাইডেন ইসরায়েলি সরকারের প্রতি সরাসরি সতর্কতা জারি করেন।
মঙ্গলবার বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েল তার নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারে, এই মুহূর্তে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা আছে। তাদের পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আছে, ইউরোপ আছে, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই রয়েছে।’
তার দাবি, ‘কিন্তু নির্বিচারে বোমা হামলার মাধ্যমে তারা (ইসরায়েল) সেই সমর্থন হারাতে শুরু করেছে।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন অবশ্য আরও বলেছেন, ‘হামাসকে মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই’ এবং ইসরায়েলের এটি করার ‘সমস্ত অধিকারই’ রয়েছে।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় তার স্থল যুদ্ধ এবং হামাসকে ধ্বংস ও বন্দিদের উদ্ধারের লক্ষ্যে চলা অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পূর্ণ সমর্থন’ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজায় ‘যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ’ আটকে রেখেছে ওয়াশিংটন।
তার ভাষায়, ‘হ্যাঁ, ‘হামাসের (নির্মূলের) পরের সময়’ নিয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) মতবিরোধ রয়েছে এবং আমি আশা করি, আমরা এখানেও (একটি) চুক্তিতে পৌঁছাব।’
Leave a Reply