নূরে আলমঃ টানা প্রায় ১৬ বছরের ক্ষমতায়নের পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে দুর্নীতিবাজ নেতা, এমপি-মন্ত্রীরা আড়ালে চলে যেতে পারলেও মাটি আঁকড়ে পরে আছে তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীরা। এদের অনেকেই সরকারের মধু না পেলেও শুধুমাত্র কর্মী বা সমর্থক হওয়ার কারণে এক বা একাধিক মামলার আসামী হয়ে পরিবার ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এদের অনেকের ছেলে-মেয়ের লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাসা ভাড়া বা খাবার কেনার টাকাও নেই অনেক পরিবারের। আওয়ামী লীগ একটি পুরোন রাজনৈতিক দল হলেও কর্মীদের জন্য কোনো ফান্ডিং এর ব্যবস্থা দৃশ্যমান কিছু করেনি। রাতারাতি ক্ষমতার স্বাদে অনেকেই বাড়ি, গাড়িসহ ব্যাপক অর্থ-সম্পত্তির মালিক হলেও আজ তাদের কেউই কর্মীদের খবর নিচ্ছে না। মুগদা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তার ফেইসবুকে লিখেছেন – যেসব নেতারা ১৫ বছর ইনকাম করার পরেও কষ্টে আছেন তারা প্লিজ আপনাদের বিকাশ-নগদ নাম্বার দিন, আমরা কর্মীরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করবো! ধন্যবাদ।
তার এমন প্রতিক্রিয়ায় নানা ধরনের মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে। শাহজাহানপুর আওয়ামী লীগ নেতা সাত্তার বলেন, দলের জন্য আমরা সব সময় রাজপথে থাকলেও নেতারা বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা কামাইছে, আজ বিপদ শুধু আমগো। তারা টাকা পয়সা নিয়ে আরাম আয়েশের দিন কাটাচ্ছে।
সবুজবাগের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজান বলেন, বাজার করার মতো টাকা নেই। কেউ খবর নিবে এমন মানুষও পাই না। বিপদ শুধু কর্মীদের। তবে সবুজবাগ আওয়ামী লীগ নেতা ইসমত তাকির বাবু নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখজেন বলে জানা যায়।
চকবাজার আওয়ামী লীগের কর্মী সারোয়ার আহমেদ রাজু পরিবার ছেড়ে একটি কাজের খোঁজে নানা স্থানে ঘুড়ছে। ৫ তারিখের পর তার বাসায় লুটপাট করে তান্ডব চালিয়ে সব কিছু তছনছ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-৫ আসনের নেতা হারুনর রশীদ মুন্না সাধারণ নেতাকর্মীদের সাথে সব-সময় যোগাযোগ রেখে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।
রমনা আওয়ামী লীগের নেতা আলম জানান তিনি কোনো কাজে যেতে পারছেন না। তার পরিবার মানবিক জীবনযাপন করছে। কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছে না।
Leave a Reply