আনলিমিটেড নিউজ ডেস্কঃ ১০দিন ধরে চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় সোমবারও আশুলিয়ার ৭৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে শিল্প খাতে প্রভাব পড়ার শঙ্কায় আছেন মালিকপক্ষ।
অন্যদিকে শ্রমিকদের ‘যৌক্তিক’ দাবিকে আরও সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলছেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ গামের্ন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শ্রমিকদের সাধারণ কিছু দাবি দাওয়ার প্রতি ‘আন্তরিকতার ঘাটতির’ কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে অতীতে বেতন বাড়ানো বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন দেওয়ার মতো বিষয়গুলো সামনে এলেও এবার নৈশ বিল, টিফিন বিল কিংবা আরও বেশি পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের যে বিষয়গুলো আসছে সেটা সামষ্টিক না বলে মন্তব্য করেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
ফলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবার পেছনে ‘রাজনৈতিক পট পরিবর্তন’ এবং ‘তৃতীয় পক্ষের’ ইন্ধনকেও কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল চলছে। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলসহ শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেছেন শিল্প পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামগড়া এলাকায় ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানা ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা র্যাবের একটি গাড়িতে আগুন ও সেনাসদস্যদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ওই স্থান থেকে একজনে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply