আনলিমিটেড নিউজঃ নরসিংদীর রায়পুরায় একটি সালিশ-বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন ৪০ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পান্থ হাজারী (২৬) নামে এক যুবককে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকার হাজারী বাড়ি ও নয়াগাজী বাড়ির বিএনপি নেতা শফিক আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

জানা গেছে, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রায়পুরা ও বেলাব থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত একটি ব্রিজের নিজের অংশে থাকা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ নিয়ে বেলাল উপজেলার ইব্রাহীমপুর ও রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকার যুবকদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। গত মঙ্গলবার ইব্রাহীমপুরের এক যুবক মাহমুদাবাদ এসে মোটরসাইকেলসহ স্থানীয় বিএনপি নেতা শফিক আহমেদ অনুসারীদের হাতে আটক হয়। আটক হওয়া ওই যুবক সর্ম্পকে মাহমুদাবাদ এলাকার দিল মিয়া হাজারীর মেয়ের ভাসুর। পরে খবর পেয়ে দিল মিয়া হাজারী ও মিলন হাজারী গিয়ে তাদের আত্মীয় ওই যুবককে ছাড়িয়ে আনেন।

এরই জেরে হাজারী বাড়ির লোকজনের সঙ্গে নয়াগাজীর বাড়ির বিএনপি নেতা শফিক আহমেদ লোকজনের ঝগড়া হয়। পরে দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশ-বৈঠক হয়। বৈঠক চলাকালে বিএনপি নেতা শফিক আহমেদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে হাজারী বাড়ির পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান ইব্রাহীমপুরের লোকজন। হামলায় উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

মোশাররফ হাজারী বলেন, বিএনপি নেতা শফিক আহমেদের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। এতে আমাদের ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পান্থ হাজারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মির্জাপুর ইউপি মেম্বার রিপন মিয়া বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সালিশে বসে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় আমার স্ত্রীও আহত হয়েছে। বর্তমানে সে ঢাকায় ভর্তি আছে।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।