রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খিলগাঁও মডেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে অভিযুক্ত শিক্ষক ডঃ অধ্যাপক হাফেজ ক্বারী মাওলানা রবিউল ইসলাম পরিচালিত, হলি কুরআন আইডিয়াল ইন্সটিটিউটে।
অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক এমন অভিযোগ রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম গত ২২ ফেব্রুয়ারি তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানেই চতুর্থ শ্রেণীর দশ বছরের এক ছাত্রীর শরীরে স্পর্শ করেন। রবিউল ইসলাম সেই ছাত্রীকে জোর করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলগাঁও থানায় ফৌজদারি বিধান কোষের ১৫৪নং ধারায় মামলা করেন। সেই মামলার আলোকেই খিলগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে, জেল হাজতে পাঠান।
এদিকে, রবিউল ইসলাম হাজতে থাকলেও তার পরিবার এবং মডেল কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে এ মামলা যেনো বাদীপক্ষ তুলে নেন। আবার কেউ কেউ রবিউল ইসলামের পক্ষ নিয়ে কালখেপন করে তিনি যেনো দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার না হয় তার চেষ্টাও করেন।
গত ৪ মার্চ খিলগাঁও মডেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ গ্রেফতারকৃত রবিউল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। তবে মামলার বাদী জানান, এ ধরেনর অপরাধীকে সাময়িক বহিষ্কার নয়; স্থায়ীভাবে বহিষ্কার চাই। আর তিনি যেনো কোনো প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত না করতে পারে সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা ও অপরাধীর সর্বচ্চো শাস্তি কামনা করেন।
গ্রেফতারকৃত রবিউল ইসলামের বোন আয়েশা ক্যামেরার সামনে না আসলেও মুঠোফোনে জানান, তার ভাই রবিউল ইসলাম মেয়েটাকে একটু আদর করেছিলেন।
খিলগাঁও মডেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গভনিং বডির সদস্য ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন জানান, একজন শিক্ষক এমন কাজ করবে, যা আমাদের জন্য লজ্জার, যদি এটা প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই শাস্তি চাই।
খিলগাঁও মডেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গভনিং বডির আরেক সদস্য তাইজুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে মামলার কাগজ পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি।
হলি কুরআন আইডিয়াল ইন্সটিটিউটের উপদেষ্টা হিরোন বলেন, এটা তার ৫ম বারের মতো ঘটনা। তাকে অনেক বার ভালো হয়ে যেতে বললেও শুনেনি।
খিলগাঁও মডেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইমাম জাফর জানান, এটা আমাদের প্রতিষ্ঠানে না ঘটলেও আমরা মামলার প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথে তাকে শোকজ না করে সাময়িক বহিষ্কার করেছি।
Leave a Reply