আনলিমিটেড নিউজ :: সাইফুর রহমান সোহাগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮তম নির্বাচিত সভাপতি। দুঃশাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় নায়ক। শুধু তাই নয় লাখো ছাত্রের বিশ্বস্ত একজন অভিভাবক। এমন একজন ব্যক্তির ঈদ ভাবনা শুধুই কর্মীদের নিয়ে। আর এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বললেন ….
এবার ঈদ কোথায় করা হচ্ছে?
সোহাগ: ঈদের জামাত সাধারণত জাতীয় ঈদগাহে পড়া হয়। এবারও তাই হবে। সেখান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে যাব। তারপর ঢাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে মাদারীপুরে যাব। বলতে পারেন আমার ঈদের অর্ধেক দিন ঢাকায় আর অর্ধেক দিন মাদারীপুরে কাটানো হবে।
ঈদ নিয়ে এমন কোনো স্মৃতি আছে যা আজো মনে পড়ে?
সোহাগ: এখনো মনে আছে, তখন আমি ৭ম শ্রেণিতে পড়ি। মাদারীপুরে ছিলাম। বাবা মার কাছে। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার জন্য আমার বন্ধুরা বেড় হলাম। অনেক খুঁজলাম কিন্তু আকাশের কোথাও চাঁদ দেখতে পাইনি। তখন মন এতই খারাপ হয়েছিল, সত্যি এতই মন খারাপ হয়েছিল যা আজো অনুভব করি। মুখ ভার করে বসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ রাত ১২টার পর খবর পেলাম পরের দিন ঈদ। মানে চাঁদ দেখা গেছে, কিন্তু আমরা দেখতে পাইনি। ওই সন্ধ্যা থেকে নিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত আমার জন্য কষ্টের ছিল, পরে আনন্দের ছিল।
ঈদে রাজনৈতিক কোনো প্রোগ্রাম আছে?
সোহাগ: আমার তো সব সময় কোনো না কোনো প্রোগ্রাম থাকে। তেমনি ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করব। তাদের খোঁজ খবর নিব।
আপনার নিজস্ব কোনো ফ্যাশন আছে? এছাড়া ঈদে আপনি কি খেতে পছন্দ করেন?
সোহাগ: আমার নির্দিষ্ট কোনো পছন্দ নেই। জামা, জুতো, ঘড়ি যাই বলেন না কেন, যেটা ভালো লাগে সেটাই পরি। ঈদের দিন আমার মায়ের হাতের রান্না করা সেমাই অনেক পছন্দ। এছাড়া ঈদের দিন পাঞ্জাবি পরতেই ভালো লাগে।
আপনার এমন কোনো প্রিয় বা ভালোবাসার মানুষ আছে যাকে নিয়ে ঈদের দিনে বিশেষ কোনো চিন্তা আছে?
সোহাগ: এইতো আমার বাবা মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা…
না সেটা না, বলছিলাম এর বাইরে কোনো স্পেশাল মানুষ আছে যাকে নিয়ে আপনি ভাবছেন?
এই প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন ছাত্রলীগের এই সভাপতি। হেসে হেসে তিনি বললেন, না না আমার এখন এমন কোনো মানুষ নেই। বাবা মা আর জননেত্রী শেখ হাসিনাই আমার বিশেষ ব্যক্তি। এছাড়া প্রিয় নেতাকর্মীরাই তো আমার সব।
এবার ঈদটা কিভাবে কাটাবেন?
সোহাগ: আমার আত্মীয় স্বজন, পরিবার, স্কুলের বন্ধু, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই ঈদ পালন করব। আমার ঈদটাই হবে কর্মীদের নিয়ে। ইচ্ছা থাকলেও কাজের চাপে অনেক কর্মীদের খোঁজ নেয়া হয় না। তাই এবার তাদের খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করব। এই নেতাকর্মীদের জন্যই আমার সব চিন্তা ভাবনা। তাই এবার বিশেষ করে তাদের সময় দিতে চেষ্টা করব।
কাউকে কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন
সোহাগ: আমার প্রিয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিটি মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকবেন। সুন্দরভাবে ঈদ করবেন এই কামনা করি। ও হ্যাঁ, গরীব অসহায় মানুষের খোঁজ নিতে ভুলবেন না। তাদের মুখেও হাসি ফোটানোর জন্য চেষ্টা করবেন।
Leave a Reply