আনলিমিটেড নিউজ :: ঢাকার কেরানীগঞ্জে মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক এক আসামিকে শিশু আইনে ১০ বছরের সাজা এবং এক নারীকে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ (বুধবার) ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ দেড় বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে পলাতক আসামি খোরশেদ আলমকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হত্যায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলেও আসামি মেহেদী হাসান শামীমের বয়স ঘটনার সময় ১৮ বছরের কম হওয়ায় ২০১৩ সালের শিশু আইনে তার ১০ বছরের সাজার রায় এসেছে।
অপর আসামি মিতু আক্তারকে এক বছরের সাজার সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের সাজা দিয়েছেন বিচারক। তবে তার নয় মাসের একটি সন্তান থাকায় আপিলের শর্তে তাকে রায়ের পরপরই জামিন দেয় আদালত। এছাড়া অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না হওয়ায় নাসিমা বেগম নামের আরেক আসামি খালাস পোয়েছেন।আদালতে উপস্থিত আব্দুল্লাহর মা রিনা বেগম রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত। তিনি বলেন, “এ রায় আমি মানি না। আমি আপিল করব।” এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান বলেন, “রায়ের কপি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাকে মুক্ত করার জন্য পরিবার দুই লাখ টাকা দিলেও অপহরণের দিনই আসামিরা ১১ বছর বয়সী আবদুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে শিশুটির মৃতদেহ ভরে রাখা হয় প্লাস্টিকের ড্রামে। চারদিন পর আব্দুল্লাহর বাবার আপন চাচা মোতাহার হোসেনের বাড়িতে ওই ড্রাম থেকে শিশুটির গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আবদুল্লাহর নানা মারফত আলী ওই বছর ৩১ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্তের মধ্যেই ৭ ফেব্রুয়ারি র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন।কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করে।
Leave a Reply