আনলিমিটেড নিউজ :: চাঁদা না পেয়ে মসজিদের নামে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে যাত্রাবাড়ীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সায়েমের বিরুদ্ধে। তার অপকর্মের অভিযোগ পেলেও কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মো. আশ্রাফ উদ্দিন খন্দকার নামে এক ভুক্তভোগী। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে মো. আরিফ খন্দকার।
লিখিত বক্তব্যে আশ্রাফ উদ্দিন খন্দকার অভিযোগ করেন, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর পৈত্রিক ভিটায় বাড়ি নির্মাণ করার সময় স্থানীয় যুবলীগের সভাপতি সায়েম খন্দকার তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সায়েম তার লোকজন দিয়ে দুই শতাংশ জমি ও বাড়ির সামনের অংশ দখল করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন। এতে বাড়ির লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন না।
ইতোপূর্বে চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় ২৮ থেকে ৩০টি পরিবারকে নির্যাতন করে তাদের জমিতে দেয়াল তুলে দখল করে নিয়েছেন সায়েম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত বছরের ২১ মে সায়েমের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি জিডি গ্রহণ করে (জিডি নম্বর-১৮৪)। বিষয়টি থানা পুলিশের কাছ থেকে শুনে সায়েম ক্ষুব্ধ হন এবং পরেরদিন ২২ মে সায়েমের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ১৪৫ নম্বর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বাড়িতে আসেন। তারা নির্মাণাধীন ১০ পিলার ও অন্যান্য মালপত্র ভাঙচুর করেন। বাড়ির লোকজনদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন এবং আলমারি ভেঙে নগদ ১০ হাজার টাকা, তিনভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও একটি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যান।
আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, পরে বাধ্য হয়ে আদালতে একটি মামলা করি (মামলা নম্বর-৪০১/১৬)।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সায়েমসহ তার অনুসারী জালাল, আসাদ, শামীম আহমেদ, মো. সম্রাট, নুরুল ইসলাম, শহীদ, সিরাজুল ইসলাম (বাদল), মজিবুর রহমান, ওজিদুর রহমান ও মহব্বত আলীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার ভুগছি, সেকোনো মুহূর্তে তারা হামলা চালাতে পারে।’
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply