আনলিমিটেড নিউজ :: গতবছরের মত এবারও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা। বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বায়তুল মোকাররমের ইমাম মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই সভায় ফিতরা নির্ধারণী কমিটির সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেঁজুর, কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে যে কোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। এই হিসেবে এবার সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা থেকে ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফিতরার জন্য নির্ধারিত ওজনের আটার দাম ৬৫ টাকা, যবের দাম ৫৬০ টাকা, কিসমিস ১২৫০ টাকা, খেঁজুর ১৬৫০ টাকা এবং পনিরের ১৯৮০ টাকা ধরে এই ফিতরা হিসাব করা হয়েছে। “নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে এসব পণ্যের যে কোনো একটি দিয়ে অথবা সমপরিমাণ দাম দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। তবে খুচরা বাজারে এসব পণ্যের দামে তারতম্য থাকতে পারে।”
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলিমের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। একইভাবে ফিতরার খাদ্য ঈদের নামাযের আগেই বন্টন করাও ওয়াজিব। ঈদের নামাযের পর পর্যন্ত দেরি করা জায়েয নয়। বরঞ্চ ঈদের এক বা দুই দিন আগে আদায় করে দিলে কোন অসুবিধা নেই।
Leave a Reply