আনলিমিটেড নিউজ বিশেষ :: আগামী ১৫ জুনের মধ্যেই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর-দক্ষিণ) অধিকাংশ ওয়ার্ড ও থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যেই এই কমিটিতে যারা আসতে আগ্রহী তাদের নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের কঠোর নির্দেশনার পর এবারই প্রথম তৃণমূল পর্যায়ে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের জানানো হয়েছে যে, সঠিক তথ্যের মাধ্যমে যেন কমিটির তালিকা করা হয়।
জানা যায়, এবারই প্রথম থানা ও ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সরাসরি কমিটি দিতে পারছে না। কমিটিতে আর্থিক লেনদেন হয়, এমন অভিযোগ যেন না ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারীরা যেন কমিটিতে আসতে না পারে সেজন্য বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে সকল থানা ওয়ার্ড নেতাদের আগামী ১০ থেকে ১২ জুন তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা মহানগর কমিটির নিকট প্রদানের নির্দেশনা ওেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের ডেকে দ্রুত কমিটি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আগামী ১৫ জুন তারিখ পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদকের এমন নির্দেশনার পরই মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা কমিটির জন্য চাপ দেন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে। জানা যায়, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে সকল থানা ও ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া সম্ভব না। রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসা ও নানা ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সবগুলো কমিটি পূর্ণাঙ্গ দেয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজ হোসেন বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাদের কমিটিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করার কথা বলেছেন। তারই আলোকে আমরা কাজ করছি। রোজায় অনেকেই ব্যস্ত, তাই কয়েকটি জায়গায় রোজার ভেতর কমিটি না দিতে পারলেও রোজার পর দেয়া হবে। তবে অধিকাংশ কমিটি রোজার মধ্যেই দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে মহানগর আওয়ামী লীগ। অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে মিরাজ হোসেন বলেন, আসন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করতে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী বা বিএনপি-জামায়াতের কেউ আসতে না পারে সেজন্য তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে। আশা করি এর মাধ্যম অনুপ্রবেশকারীদের কমিটিতে আসা ঠেকানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এসব কমিটিতে ছাত্রলীগ থেকে আসা নেতাকর্মীদের ২০ থেকে ৩০ ভাগ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কমিটি তরুণ-প্রবীণদের সমন্বয়ে করা হবে। কমিটিকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আর দুজনে মিলে যোগ-সাজোশ করে কমিটি দিতে পারবে না। তাদের সুপারিসে মহানগর আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেবে। তাই সদস্য হওয়ার বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তবুও কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র, আমার সংবাদ
Leave a Reply