আনলিমিটেড নিউজ ডেস্ক :: রাজশাহীর বৃহত্তর বানেশ্বর বাজারে ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাবসায়ীরা। পুজি হারাতে বসেছেন অনেক তৃণমুল ব্যাবসায়ীরা। ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাত্ম্যের কারনে চামড়া, গুড়, বেগুন ও গরুর হাটের মত আমের হাটও অন্য উপজেলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞমহল।
ওজনে কাররচুপির অভিযোগে গত ৩ মে বিকাল ৫টায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে দাঁড়ী-পাল্লা ও ৪শতাধিক মুরগি জব্দ করে বিভিন্ন এতিম খানায় ও মাদ্রাসায় বিতরন করতে দেখা গেলেও পরবর্তীতে এধরণের অভিযান আর লক্ষ্য করেনি বাজারের ব্যবসায়ীরা। মাছ-মাংস, মুরগী ও শবজির বাজারে চলে ওজনে ব্যাপক কারচুপি। এছাড়াও প্রতিবছর ওজনের এই বিষয়গুলো বেশি, বেশি লক্ষ্য করা যায় আম ক্রয়করা আড়ৎ গুলোতে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবার রাজশাহীর বৃহত্তর আমের বাজার বানেশ্বর হাটে বেশ কয়েকটি আমের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, শলার আম(ওজন করার জন্য) দেখিয়ে বিক্রেতার প্রতি ঝুড়ি থেকে বড়মাপের ৪-৫টা করে আম ব্যধতামূলক ভাবে নেওয়া হচ্ছে। ঝুড়ি ওজন ২কেজির স্থলে ৫-৬কেজি করে আম নেওয়া হচ্ছে। প্রতি ওজনে(কাটা প্রতি) ১কেজি বাদ দেওয়া হয়। ঝুড়িতে ৫-১০টি ছোট (ক্যাট) আম পাওয়া গেলে প্রতি ঝুড়ি থেকে ৫-১০ কেজি বাদ দেওয়া হয় অথবা অর্ধেক দাম দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক আম নষ্ট হিসেবে ধরেও বিনামূল্যে নিয়েনেয়। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বি.এস.টি.আই-এর নির্ধারিত বাটকারা ব্যবহার না করে নিজেদের ইচ্ছামত তৈরি বাটকারা ও চটের বস্তার ভিতর ইট-পাথর দিয়ে আম ওজন দেওয়া হয়। বাটকারা-ওজন তদরকি করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ্য বিভাগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা আসেন না আবার আসলেও দুই-একটা তদারকি করে চলে যায় বলে জানালেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
আম বাগানিরা অভিযোগ করে জানান, অনেক সময় ফড়িয়ারা আম মেপে নিয়ে টাকা দিবো, দিচ্ছি, পরে ও দেওয়া হবে বলে জানায়। সেই টাকা তুলতেও তাদেরকে অনেক হয়রানি শিকার হতে হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে আম ক্রয়করতে আসা ব্যবসায়ীরা বলেন, বানেশ্বর বাজারের আমের আড়ত গুলোতে কোন নীতিমালা ছাড়াই অতিরিক্ত হারে আড়ত খরচ ও খাজনা আদায় করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ আড়তে ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাত্ম্যে বাড়ায় বিপাকে পড়েন বাগানীরা। পুজি হারাতে বসেন অনেক তৃণমুল বাগান ব্যাবসায়ীরা। ওজনে কারচুপি, ফড়িয়া ও দালালদের দৌরাত্ম্যের কারনে চলে গেছে নাটোর বেলপুকুরে চামড়ার হাট, নাটোরে গুড় হাট, বিড়ালদহ- শিবপুরহাট বেগুন, পেয়ারা-কলার হাট ও শিবপুরহাটে গরুর হাট। এসব হাটের মত আমের হাটও অন্য উপজেলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞমহল।
Leave a Reply