আনলিমিটেড নিউজ বিশেষ :: ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর-দক্ষিণ) অধিকাংশ ওয়ার্ড ও থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২০ ভাগ ছাত্রলীগ থেকে আসা নেতাকর্মীরা স্থান পাবে। ইতোমধ্যেই এই কমিটিতে যারা আসতে আগ্রহী তাদের নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এ কমিটিতে দলের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ২০ থেকে ৩০ ভাগ নেতাকর্মী স্থান পাচ্ছে। দলের হাইকমান্ডের কঠোর নিদের্শনার পর এবারই প্রথম তৃণমূল পর্যায়ে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের জানানো হয়েছে যে, সঠিক তথ্যের মাধ্যমে যেন কমিটির তালিকা করা হয়। জানা যায়, এবারই প্রথম  থানা ও ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সরাসরি কমিটি দিতে পারছে না। কমিটিতে আর্থিক লেনদেন হয়, এমন অভিযোগ যেন না ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারীরা যেন কমিটিতে আসতে না পারে সেজন্য বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
ইতোমধ্যে সকল থানা ওয়ার্ড নেতাদেরকে আগামী ১০ থেকে ১২ জুন তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা মহানগর কমিটির নিকট প্রদানের নিদের্শনা ওেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজ হোসেন আনলিমিটেড নিউজ’কে বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাদের কমিটি গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূণাঙ্গ করার কথা বলেছেন। তারই আলোকে আমরা কাজ করছি। রোজায় অনেকেই ব্যস্ত, তাই কয়েকটি জায়গায় রোজার ভেতর কমিটি না দিতে পারলেও রোজার পর সেগুলো দেয়া হবে। তবে অধিকাংশ কমিটিগুলো রোজার মধ্যেই দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, এসব কমিটিতে ছাত্রলীগ থেকে আসা নেতাকর্মীদের ২০ থেকে ৩০ ভাগ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কমিটি তরুণ-প্রবীনদের সমন্বয়ে করা হবে।
কমিটিকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আর দুজনে মিলে যোগ-সাজোস করে কমিটি দিতে পারবে না। তাদের সুপারিসে মহানগর আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিবে। তাই সদস্য হওয়ার বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তবুও কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!