আনলিমিটেড স্পোর্টস ডেস্ক :: তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীমের অসাধারণ জুটির ওপর ভর করে ইংল্যান্ডকে ৩০৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। তামিম ১২৮ এবং মুশফিকুর রহীম করেন ৭৯ রান । তারা ১৬৬ রানের চমৎকার এক জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার কেনিংটনে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ধীর গতিতে শুরু করে আস্তে আস্তে ইংলিশ বোলারদের উপর চড়াও হয়ে রানের চাকা বাড়াতে থাকেন সৌম্য। কিন্তু খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৮ রান করে স্টোকসের বলে বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার।
সৌম্যরে বিদায়ের পর টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও ফিরে যান। লিয়াম প্লানকেটের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল স্লগ করতে গিয়ে ধরা পড়েন মার্ক উডের হাতে। ২০ বলে তিনটি চারে ১৯ রান করেন তিনি। ইমরুল ফেরার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯৫।
এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ।
কিন্তু ১৬৬ রানের চমৎকার এক জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেয়া তামিম ও মুশফিক পরপর দুই বলে ফিরেন। ইনিংসের ৪৫তম ওভারে লিয়াম প্লানকেটের বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হন তামিম। ১৪২ বলে ১২৮ রান করেন। তার ইনিংসটি গড়া ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
একই ওভারে পরের বলে লং অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুশফিক। ৭২ বলে ৭৯ রান করতে তিনি ৮টি চার হাঁকিয়েছেন। এই দুই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের রানের গতি কিছুটা কমে যায়।
এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। এসেই দুটি চারে ৮ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। তখন বাংলাদেশের স্কোর ২৭৭ রান। ৫০তম ওভারের লিয়াম প্লানকেটেকের বলে জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাব্বির। ১৫ বলে তিনটি চারে এই ব্যাটসম্যান করেন ২৪ রান। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
Leave a Reply