আনলিমিটেড নিউজ :: নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
তিনি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সবার জন্য সমান সুযোগ দেয়ারও দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্বাচন করবেন, আর আমরা আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখব, সে ধরনের নির্বাচন দেশে হবে না।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচন চান। তবে সেটি হতে হবে অংশগ্রহণমূলক, অর্থবহ নির্বাচন। এ জন্য দরকার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার উন্নয়নের ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। তাদের প্রত্যেকটা হিসেবে গড় মিল আছে। বিএনপি শিগগির এ বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরবে।
বিবিএসের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার প্রবৃদ্ধির কথা বলে। আজকের পত্রিকায় প্রমাণ আছে কী প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আসলে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীদের।
তিনি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন শহীদ জিয়া। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে দেশের কোটি কোটি মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানকে খাটো করতে চায়। কারণ তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছিল।
সভায় যোগ দিতে আসার সময় খিলগাঁও থানা যুবদলের ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন অভিযোগে তিনি তীব্র নিন্দা ও মুক্তির দাবি জানান।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ জিয়া মাত্র ১০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নেন তার অনন্য গুণাবলী দ্বারা। তিনি আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়টা দিয়ে গেছেন। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অন্তর্ভুক্ত করেন। এটা মুছে ফেলা যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও তারা আসলে সুবিধাবাদী দল। ১৯৯৮ সালে ভোটের আগে তারা সবচেয়ে দক্ষিণপন্থী দল বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের সঙ্গে পাঁচ দফা চুক্তি করেছিল। সেখানে ফতোয়ার বিধানও ছিল। ভোট পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সেটা করেছিল। এখনো তারা একই কাজ করছে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছা সেবক দলের শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, মহানগর উত্তরের বজলুল বাসিত আনজু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
Leave a Reply