আনলিমিটেড নিউজ :: রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের মেয়ের বয়স এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এখনও মুখে কথা ফোঁটেনি পুরোপুরি। গুঁটিগুঁটি পায়ে ঘর ময় ঘুরে বেড়ায়। আর শুধু ‘বাবা, বা-বা, বা-বা-বা’ ডাকে। মায়ের চেয়ে বাবার প্রতিই টান বেশি মেয়ের। বাবা বাইরে থেকে ঘরে ফিরলে দরজায় ছুঁটে আসে। কোলেচড়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। কাপড় বদলে নেয়ার সুযোগও দেয় না। তাকে কোলে নিয়েই বাকি কাজ করতে হয়।
মেয়েকে নিয়ে গল্পের ছলে বলছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। ‘মেয়ে আমার চাঁদের টুকরা। বাবা-মা ছাড়া কিছু বোঝে না। তবে বাবার প্রতি টানটা একটু বেশিই।’ বলেই একগাল হাসলেন একদিন বাদে সত্তুরে পা দিতে যাওয়া মানুষটি।
২০১৬ সালের ২৮ মে স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তার কোলজুড়ে আসে জান্নাতুল মাওয়া রিমু। ‘মেয়েকে কোলে নিয়ে কেঁদেছিলাম সেদিন। রক্তের মায়া কী সেদিনই প্রথম বুঝতে পারি। ফুটফুটে ফুলটাকে কোলে নেয়ার পর মনে হয়েছে আমার শূন্যবুক যেন ভরে গেল।’ গলা ধরে এল বাবার।
ঘরোয়া আয়োজনে মেয়ের প্রথম জন্মদিন উদযাপন করলেন মুজিবুল-হনুফা দম্পতি। রাজ্যের ব্যস্ততার মাঝেও মেয়েকে সময় দিয়েছেন বাবা। কোলে পিঠে রেখেছেন। কাঁধে তুলে ছবি তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে ৩২ বছর বয়সী হনুফা আক্তারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ওই সময় তাঁর বিয়ে বেশ আলোচিত ছিল।
১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে মুজিবুল হক জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি চৌদ্দগ্রাম থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি রেলপথমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে, ১৯৮৫ সালের ২০ মে হনুফা আক্তার ওরফে রিক্তা জন্মগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে গল্লাই আবেদা নূর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে রিক্তা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে এলএলবি পাস করেন। বর্তমানে তিনি হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ লিমিটেডের আইন উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।
Leave a Reply