রায়ে বেতন নির্ধারণ, টিউশন ফি, শিক্ষক নিয়োগ ও স্টাফ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে করতে হবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় প্রত্যেক বছর স্কুলে অডিট করে তার প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশে করতে বলেছেন আদালত। সেই সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মতামতকেও অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে বাংলা শিক্ষার বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাবলীলভাবে বাংলা ভাষা বলা, লেখা ও বোঝার মতো শিক্ষা দিতেও বলেছেন হাইকোর্ট। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শেখাতেও প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সেইসঙ্গে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করতেও বলা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে দেশের সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্লে গ্রুপ থেকে ‘এ’ লেভেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, পুনঃভর্তি ফি ও সেশন চার্জ বিষয়ে শিক্ষা বিধিমালা গঠনে জারি করা রুলের রায় ঘোষণা শুরু করেন হাইকোর্ট। গত ৫ এপ্রিল শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৪ সালে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাভেদ ফারুক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, পুনঃভর্তি ফি ও সেশনচার্জ বিষয়ে শিক্ষা বিধিমালা গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে শিক্ষাসচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও দেশের সব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে একই বছরের ২৩ এপ্রিল ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্লে গ্রুপ থেকে ‘এ’ লেভেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, পুনঃভর্তি ফি ও সেশন চার্জ বিষয়ে কেন শিক্ষা বিধিমালা গঠন করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, পুনঃভর্তি ফি ও সেশনচার্জ নেয়ার ক্ষেত্রে বিবাদীদের মনিটরিং সেল গঠনের কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
Leave a Reply