ইলেকট্রোশুর ব্যবহার নিয়ে সিদ্ধার্থর ভাষ্য, কোনো নারীকে কেউ ধর্ষণের চেষ্টা করলেই এই চপ্পলের মাধ্যমে তাঁকে আটক করা যাবে এবং ওই নারী নিজেকে ওই ব্যক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। চপ্পলটিতে বিশেষ ধরনের একটি সার্কিট ও রিচার্জেবল ব্যাটারি বসানো আছে। হাঁটলেই এটা চার্জ নেবে। যে যত বেশি হাঁটবেন, চপ্পলটি তত বেশি চার্জ ধরে রাখবে। এটাকে ‘পিয়েজোইলেকট্রিক ইফেক্ট’ বলে। কেউ ধর্ষণের চেষ্টা করলে পায়ের এই চপ্পলটি দিয়ে ওই ব্যক্তিকে স্পর্শ করলেই তাঁর শরীরে ০.১ অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে। এ ছাড়া নিমেষে এ-সংক্রান্ত একটি জরুরি বার্তা স্থানীয় থানা ও ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে চলে যাবে। এতে ধর্ষণের তালে থাকা ওই ব্যক্তিকে সহজেই ধরে ফেলা যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিমধ্যে চপ্পলটির পেটেন্ট নেওয়ার জন্য সিদ্ধার্থ মণ্ডলা আবেদন করেছে। এখন চলছে চপ্পলটির বাজার যাচাইয়ের প্রক্রিয়া।
সিদ্ধার্থ মণ্ডলা বলেছে, ‘চপ্পলটির পেটেন্ট পাওয়ার পর আমি এটার নকশা কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে চেষ্টা করব। ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়াকাণ্ডের পর নারীদের আত্মরক্ষার জন্য কিছু একটা তৈরি করার চিন্তা মাথায় আসে। সে চিন্তা থেকেই এই ইলেকট্রোশু তৈরি করেছি।’
Leave a Reply