তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কোনো ভারি জিনিস দিয়ে অনুপম বাবুর মাথায় ও মুখে আঘাত করা হয়েছে৷ এত জোরে আঘাত করা হয়েছিল যে নাকের হাড় ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়৷ মাথার পাশে গভীর ক্ষতও দেখা যায়৷ তবে কে বা কারা এত নৃশংসভাবে খুন করল সে বিষয়ে পুরোপুরি ধোঁয়াশা ছিল৷ যদিও প্রথম থেকেই অনুপমের স্ত্রী মনুয়াকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিল৷ শেষে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিয়ের আংটি ও মনুয়ার মোবাইলের কল লিস্টের তথ্য ঘেঁটে রহস্যের উদঘাটন করা হয়৷
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন স্বামী অনুপমকে অন্যদিনের তুলনায় বেশি ফোন করে মনুয়া৷ ওই দিন বাপের বাড়িতে ছিল সে৷ তাই এভাবেই স্বামীর গতিবিধি জেনে প্রেমিককে খবরা-খবর দিচ্ছিল সে৷ এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল এই ঘটনায় পরিচিত কেউ যুক্ত৷ এবং এমন কেউ যার কাছে বাড়ির দ্বিতীয় চাবি রয়েছে৷ যেমনটি সন্দেহ ঠিক তেমনটিই ঘটেছিল৷ অনুপম বাড়িতে ঢুকতেই মনুয়ার প্রেমিক অজিত তাঁকে ভারি জিনিস দিয়ে পিটিয়ে খুন করে৷ প্রমাণ না রাখার জন্য ঘাতক অস্ত্রটিও নিয়ে লুকিয়ে ফেলে সে৷
তবে সব অপরাধের ক্ষেত্রেই অপরাধী কোনো না কোনো প্রমাণ রেখে যায়৷ পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার পর থেকে দিনে গড়ে আট ঘণ্টা প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মনুয়া৷ মনুয়া ও অজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের কথায় অনেক অসংগতি পাওয়া যায়৷ তারপরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আদালতে হাজির করা হলে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। -সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply