র্যাব-১০’র অধিনায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু তরুণ একটি কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হয়। গতরাতেও তারা সেখানে জড়ো হয়েছে, এমন খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা কমিউনিটি সেন্টারটি ঘেরাও করে।
“তাদের কাছে কিছু মাদক পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে যে তারা সমকামিতার সঙ্গে জড়িত। এ সমকামিতার সঙ্গে জড়িত কিছু জিনিসপত্র যেমন কনডম, লুব্রিকেটিং জেল আটক করা হয়েছে।
ফেসবুক এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তারা কেরানীগঞ্জের কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হতো। প্রতিবার জড়ো হলে কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দেয়া হয়।
র্যাব অধিনায়ক মাতুব্বর জানান, সাধারণত প্রতি দেড় থেকে দুইমাস পর বৃহস্পতিবারে তারা জড়ো হতো। “তারা স্বীকার করে যে তারা মূলত ঐ কাজেই (সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া) আসে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গতকাল ঐ কাজে লিপ্ত হতে পারেনি। তার আগেই তারা অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) হয়েছে।”
তবে সমকামিতার কথা স্বীকার করলেও গতরাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তারা সমকামিতায় লিপ্ত হয়নি। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে না। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।
Leave a Reply