আনলিমিটেড নিউজ :: কওমী মাদ্রাসার আলেমদেরকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, স্বীকৃতি দিলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, কেননা তখন আর ইসলামের অপব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ হবে না। গতকাল শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জীবন ভিত্তিক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন- জুমার বয়ানের ধরণ পরিবর্তন হয়ে যাবে। ভারসাম্যপূর্ণ ইসলামের সৌন্দর্য উপস্থাপিত হবে। কোন গোষ্ঠিকে দমিয়ে/অবহেলিত রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। পবিত্র কোরআনে শাস্তি দেওয়ার কথা এসেছে ১১৭ বার আর ক্ষমা করার কথা এসেছে ২৩৪ বার।
হুদায়বিয়ার সন্ধি তুলে ধরে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তাবলীর দিকে তাকালে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, এই সন্ধি আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও মুসলমানদের পরাজয় ও আতœসমার্পণ কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এই সন্ধিকে মহা বিজয় ঘোষণা করে “সুরা ফাতাহ” নাযিল করেন এবং আল্লাহ বললেন আমিও তোমাদের সাথে এই সন্ধিতে ছিলাম। মুসলমানদের পূর্ণশক্তি থাকা সত্বেও আক্রমনে না গিয়ে এক ধরণের নতি স্বীকার করে সমঝোতা করে চলে আসলো। তার মানে বাস্তবতার আলোকে সাময়িক ক্ষতি বা পরাজয় বরণ করে নেয়া রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম একটি অধ্যয়। হুদায়বিয়ায় সন্ধির কারণে মুসলমানরা মক্কার লোকদের সামনে নিজেদের আদর্শকে নিরাপদে উপস্থাপন করার সুবর্ণ সুযোগ পায়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষমতার ভারসাম্য আনার এই নির্বাচনী ‘টোপ’ জনগণের সঙ্গে একধরণের প্রতারণার সামিল। বেগম জিয়া ভিশনে একবারও যুদ্ধাপরাধীর কথা বলেন নাই। একবারও বলা হয়নি ঘাতকদের বিচার না করে বরং সমর্থন করে বিএনপি ভুল করেছে। যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটি এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। এখানে সমঝোতার কোন সুযোগ নেই। আর মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে দাবিদার বিএনপির এই ইস্যুটি সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া মানেই যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সমর্থন চালিয়ে যাওয়ার সামিল। তিনি আরও বলেন, যে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা স্থায়ী রূপ পায়নি, সেই দল বিএনপি কীভাবে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় ওয়েস্টমিনস্টার ডেমোক্রেসি ধাঁচের সংসদীয় গণতন্ত্র দিতে পারে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, সিরাজ উদ্দিন মোল্লা অধ্যাপক এ.বি.এম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক- মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, ফারুক হাসান তুহিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
Leave a Reply