আনলিমিটেড নিউজ :: রাজধানীর আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বৃহম্পতিবার নাঈম আশরাফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জাম্মানের আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, নাঈম আশরাফকে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘটনার বিবরণ দেয়া এখন সম্ভব হচ্ছে না। আমরা তদন্তের প্রাথমিক দিকে আছি। আসামি নাঈম সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কথা স্বীকার করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, বাদীদের ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন রাতে নাঈমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিল। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে ওমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন্সের তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন তারা। মামলার সব আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবশেষ গতকাল মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে আসামি নাঈম আশরাফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাঈমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জাম্মানের আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Leave a Reply