1. admin@admin.com : admin :
  2. harundesk@gmail.com : unlimitednews24 : Md Jibon
  3. unlimitednews24@gmail.com : Md Jibon : Md Jibon
  4. mdnayeem7726@gmail.com : Md Nayeem : Md Nayeem
শেখ হাসিানর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ - Unlimited News 24।।আনলিমিটেড নিউজ
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিানর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৭ মে, ২০১৭

বাংলার কৃষক রাজা ও অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৩৬তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ১৭ মে। ১৯৮১ সালের এ দিনে তিনি দেশে ফিরে আসেন স্থায়ীভাবে বসবাস ও দলের হাল ধরার জন্য। তার আগে ওই বছরই ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বিপুল আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। এর পর থেকে প্রতিবছরই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদ্যাপন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ছিলেন বলে ঘাতক চক্রের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পান তারা। শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়া ও তাদের ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও সে সময় ব্রাসেলসে ছিলেন। ১৫ আগস্টের কিছুদিন আগে শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনার পর দুই বোনের জীবনহানির আশঙ্কা থাকায় পরদিন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেন। সেখানে ৬ বছর অবস্থানের পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
সেদিন সারা দেশের গ্রামগঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর থেকে লাখ লাখ অধিকারবঞ্চিত মুক্তিকামী জনতা ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। স্বাধীনতার অমর সেøাগান ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছিল ঢাকার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম/পিতৃ হত্যার বদলা নেব’।
‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ধ্বনিতে সেদিন মুখরিত হয়েছিল রাজধানী শহর ঢাকা। বস্তুত ১৭ মে ১৯৮১ আবারো প্রমাণিত হয়েছিল, ‘মুজিব বাংলার, বাংলা মুজিবের’। লাখো জনতার প্রাণঢালা উষ্ণ সম্ভাষণ এবং গোটা জাতির স্নেহাশীষ ও ভালোবাসার ডালা মাথায় নিয়ে প্রিয় স্বদেশভূমিতে ফিরে এসেছিলেন জনতার আশীর্বাদ-ধন্য নেত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন গগনবিদারী মেঘ গর্জন, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বদলা নেয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিল, আর অবিরাম মুষলধারে বারি বরিষণে যেন ধুয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার মাটিতে পিতৃ হত্যার জমাটবাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন।
ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দ অশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি; বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’
আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশে গণজাগরণের ঢেউ জাগলো, গুণগত পরিবর্তন সূচিত হলো আন্দোলনের, গণসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেল সংগঠনের। দেশবাসী পেল নতুন আলোর দিশা। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি নিরলসভাবে দেশের অধিকারহারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্ন লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে।
তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জিয়া ও সাত্তারের আমলে বিএনপি শাসন, এরশাদের সামরিক শাসন এবং খালেদা জিয়ার আমলে বিএনপি শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। তার পর ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী হন।
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, দলীয়করণ ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেন শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সময় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মানসকন্যা শেখ হাসিনা সোচ্চার হলে ওই বছর ১৬ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। বছর খানেক কারাবাসের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন প্যারোলে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। এর পরদিনই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান তিনি। সেখানে প্রায় ৫ মাস ধরে চিকিৎসা শেষে ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত মহাজোট ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মহাজোট সরকারে আবারো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহাজোট সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। ‘রূপকল্প ২০২১’-এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত আধুনিক সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

Sharing is caring!

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
এই বিভাগের আরো খবর পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

© All rights reserved © 2017-2021 www.unlimitednews24.com
Web Design By Best Web BD