আনলিমিটেড নিউজ :: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সন্দেহভাজন নারী জঙ্গি সুমাইয়া বেগমকে (২৮) ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুর থেকেই গোদাগাড়ী মডেল থানায় তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
এনিয়ে আদালতজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নেয় পুলিশ। আদালতে নেয়া হয়েছিল সুমাইয়ার দেড় মাসের শিশুকন্যা আফিয়াকেও। তবে সুমাইয়ার কাছে তাকে দেয়া হয়নি। সঙ্গে থাকা নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে নিয়েছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোদাগাড়ী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলতাফ হোসেন বলেন, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকেই আবারো গোদাগাড়ী মডেল থানায় নেয়া হয়। দুপুরের পর থেকেই তার রিমান্ড শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরের মাছমারা বেনীপুর এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান ‘সান ডেভিল’ চলাকালে আত্মসমর্পণ করেন সুমাইয়া। ওই সময় উদ্ধার করা হয় তার সাত বছরের ছেলে জুবায়ের ও দেড় মাসের মেয়ে আফিয়াকে। পরে সুমাইয়াকে থানায় নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘সান ডেভিল’ শুরুর প্রস্তুতির সময় আস্তানা থেকে বেরিয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় সুমাইয়ার বাবা সাজ্জাদ হোসেন (৫০), মা স্ত্রী বেলী বেগম (৪৫), ভাই আল-আমিন ওরফে আমীর হামজা (২০), বোন কারিমা খাতুন (১৭) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দেবীপুর চরচাকলা এলাকার আব্দুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৩)।
পরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা যান তারা। জঙ্গি হামলায় মারা যান দমকল কর্মী আব্দুল মতিন। আহত হন পাঁচ পুলিশ সদস্য। ১১টি শক্তিশালী বোমা, পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধারের মধ্যমিয়ে শুক্রবার দুপুরে শেষ হয় ‘সান ডেভিল’।
শনিবার বিকেলে বেওয়ারিশ হিসেবে নগরীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে দাফন করা হয় আত্মঘাতি পাঁচ জঙ্গির মরদেহ। ওই দিন সন্ধ্যায় এনিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক নাইমুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ওই মামলায় সুমাইয়াসহ আত্মঘাতী ওই পাঁচ জঙ্গিকেও আসামি করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৫ জনকে।
Leave a Reply