আনলিমিটেড নিউজ :: ২৫ মার্চ শুধু গণহত্যা দিবস নয়, গণপ্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
গণহত্যা দিবসের দাবিতে বিগত সময়ে করা আন্দোলনে পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে দেওয়া এ সম্মাননা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক পরিষদ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিস সিদ্দিক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক এস এম জাহিদ প্রমুখ।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৫ মার্চের চেয়ে ভয়াবহ আর কোনো রাত হতে পারে না। তাই এই রাতকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা সময়োপযোগী। তবে ওই রাতের পর বাঙালিরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আর এই গণপ্রতিরোধের ফলেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই আমি বলব, গণহত্যা দিবসের পাশাপাশি ২৫ মার্চ গণপ্রতিরোধ দিবস হিসেবেও পালন করা হোক।
তিনি বলেন, জাতীয় গণহত্যা দিবস যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায় সে বিষয়টি নিয়ে এখন আমদের কাজ করা উচিত।
জাতীয় সংসদে গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মানুষ এখনো জানে না ১৯৭১ সালে কীভাবে মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এখনো পাকিস্তান সরকার বলে, কিছু বিশৃঙ্খল মানুষের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তারা ’৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। সম্প্রতি পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক ২৫ মার্চের বেশ কিছু ছবি ও তথ্য দিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। এটি দেখার পর এ দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণার যে দাবি ছিল তা আরো জোরালো হলো এবং সংসদে পাসও হলো।
অনুষ্ঠানে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এখন এটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। এতে বিশ্ববাসী জানতে পারবে, সেই দিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেন বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমাদের বিরুদ্ধে যে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল তা মানবতাবিরোধী। আর এটি সম্ভব হয়েছে এই দেশের কিছু দোসরদের কারণে। বিশেষ করে জামায়েতে ইসলামী যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
Leave a Reply