আনলিমিটেড নিউজ ডেস্ক :: বজ্রপাতে ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা ও নড়াইলে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন— আরো ৪ জন।গতকাল মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
ময়মনসিংহ: বজ্রপাতে ময়মনসিংহে এক ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলীয়া ইউনিয়নের রাউতি গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এংরাজ মিয়া (৪০) ও আসাদ মিয়া (৪৫) নামে দুই কৃষক মারা যান। বেলা সোয়া ২টার দিকে নগরীর জেলা স্কুল মাঠে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে মাহমুদুল হাসান তাতিম (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জে বজ্রপাতে ২ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে মাহমুদপুর ইউনিয়নের মরদাসাদী গ্রামের সুবেদা বেগম নামে এক নারী বাড়ির সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ছোট মনোহরদী গ্রামে আফাজ উদ্দিনের ছেলে জামির হোসেন খালে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। একই সময় বিশনন্দী গ্রামের ইসহাক মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা (৪০) বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদপুর: চাঁদপুরে বজ্রপাতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। নিহতরা হলেন উপজেলার ঢালিরকান্দি এলাকার দুলাল সর্দারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে ইয়াছিন সর্দার (১০)। প্রতিবেশিরা জানান, বাড়ির কোনো কাজে তারা উঠানের কলের কাছে ছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মা-ছেলে মারা যায়। আহতদে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় স্কুলছাত্র আবদুল মালেক (১০) ও কৃষক আবদুস সামাদ মারা গেছেন। বিকেলে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে মালেক পার্শ্ববর্তী মাঠে আম কুড়াতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সে কানাইডাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে এবং কানাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে, কুতুবপুর গ্রামের মাঠে আবদুস সামাদ কৃষি কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে গুরুতর আহত হয়। পরে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়নের টিয়ারগাঁও গ্রামে বজ্রপাতের ঘটনায় নবচন্দ্র চন্দ (২৭) নামে এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে তিনি ভ্যান নিয়ে পাশোর দীঘিরহাট বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নড়াইল: নড়াইল সদর উপজেলার পাইকমারি গ্রামে বজ্রপাতে শফিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে জুলফিকার আলী নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়েন জুলফিকার। বৃষ্টি থামলে স্থানীয় লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply