আনলিমিটেড নিউজ ডেস্ক :: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাব জুভেন্টাস। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে মোনাকোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জুভিরা। একটি গোল করে, একটিতে অবদান রেখে দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন দানি আলভেজ।
জয় দিয়ে কার্ডিফের ফাইনালে পৌঁছেছে দুইবার ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। এর আগে প্রথম লেগে মোনাকোর মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির শিষ্যরা। দুই লেগ মিলিয়ে তার শিষ্যরা জিতেছে ৪-১ গোলে।
জুভেন্টাসের স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরুতে স্বাগতিকদের চেপে ধরে মোনাকো। নিজেদের মাঠে হারা মোনাকো ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণ করে খেলতে থাকে। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে স্বাগতিকদের রক্ষণশিবির। এরই মধ্যে ম্যাচের দশম মিনিটে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিক দলের জার্মান তারকা সামি খেদিরা।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জুভেন্টাস। একের পর এক আক্রমণ করা মোনাকো ভাঙতে পারেনি ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের জমাট রক্ষণ। ৩৩তম মিনিটে জুভেন্টাসকে এগিয়ে নেন মানজুকিচ। আলভেজের ক্রস থেকে তার হেড কোনোমতে ঠেকান মোনাকোর গোলরক্ষক। ফিরতে বলে বুলেট গতির শট আর ফেরাতে পারেননি তিনি।
৪৫তম মিনিটে নিজেই জাল খুঁজে নেন আলভেজ। গোলরক্ষকের ফিস্ট থেকে বল পেয়ে জোরালো ভলিতে গোলের উল্লাসে পুরো স্টেডিয়ামকে মাতান এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এই গোলেই মোনাকোর ফাইনালে খেলার আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়। খেলা অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলে এক অর্ধে চারটি গোল করতে হতো ফরাসি শিরোপা জয়ের পথে থাকা দলটির। প্রায় অসম্ভব সেই কাজটি করতে পারেনি তারা।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিক শিবির। তবে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে পাল্টা এক আক্রমণে মোনাকোর হয়ে গোল করেন এমবাপে। চলতি আসরে ১২ ম্যাচে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার জুভেন্টাসের জালে বল জড়াল। বাকি সময় আর গোল না হলে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে তুরিনোর দলটি।
বুধবার আরেক সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে মাদ্রিদের দুই দল আতলেতিকো ও রিয়াল। প্রথম লেগে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটিট্রিকে ৩-০ ব্যবধানে জেতা রিয়ালের ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
Leave a Reply