আনলিমিটেড নিউজ :: আগামীকাল ৭ মে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুপার্ঘ্য অর্পণ, পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণিকা প্রকাশ , আলোচনা ও স্মরণ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সকাল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবে এই উপলক্ষে “ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আখতারউজ্জামান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা সাবেক এমপি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. হাফিজ উদ্দিনসহ শিক্ষক প্রমুখসহবিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নেতৃবৃন্দ।
আগামীকাল ৭ মে সকালে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পাশে ও বিকেলে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দ’ুদফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করে।
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার পিতার ১৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর কর্মসূচীতে গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীসহ সকল স্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেন এবং সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারে শাহাদাৎ বার্ষিকীর সকল অনুষ্ঠান সফল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply