মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ধসের বিস্তৃতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ মিটারে। এদিকে স্বপ্নের এ বাঁধ ধসের ফলে যমুনা নদীর তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, ধস ঠেকাতে বালি বোঝাই জিও টেক্স বস্তা ফেলে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)।
পাউবো ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত চৌহালী উপজেলার পশ্চিম পাড়ের বাকি অংশ এবং টাঙ্গাইল জেলা রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার তীর সংরক্ষন বাঁধের নির্মান কাজ শুরু হয় গত ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। প্রাথমিকভাবে মাটি ফেলে জিও টেক্স দিয়ে এখানে তৈরী করা হয়েছে বাঁধের অস্থায়ী অংশ। যার উপর পাথরের ড্রেসিং কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এদিন দুপুর থেকে নদীর চৌহালী জাজুরিয়া খগেনের ঘাট অংশে ৭০ মিটার ধসে যায়। এতে সাধারন মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তবে, প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বর্তমানে ধসে যাওয়া স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পাউবোর পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেছেন, বাঁধের ধসে যাওয়া অংশের তলাদেশে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ধসের মুল কারন। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। কিছু দিনের মধ্যেই এর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এতে মূল বাঁধ নির্মানে কোন প্রভাব পড়বেনা।
Leave a Reply