আনলিমিটেড নিউজ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে এক জামায়াত নেতাকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারমান মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সীমান্তবর্তী কৃঞ্চানন্দবকসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গণধোলাইয়ের শিকার চার সন্তানের জনক মো. আমির হোসেন (৪৫) উপজেলার চরগোরকমণ্ডপ গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং কৃঞ্চানন্দবকসী জামে মসজিদের ঈমাম। তিনি চরগোরকমণ্ডপ ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমীর।
স্থানীয়রা জানান, জামায়াত নেতা আমির হোসেন স্থানীয় পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নারীদের পবিত্র কোরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এভাবেই এলাকার রমজান আলীর দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তিন বছর ধরে তাদের সম্পর্ক চললেও কারও মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়নি। গত বৃহষ্পতিবার বিকালে তারা কৃঞ্চানন্দবকসী গ্রামে স্কুলছাত্রীর দুলাভাই সাবুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে তারা ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী আমির হোসেনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন স্থানীয়রা তাদের প্রেমের সম্পর্কটি বুঝতে পারে।
এরপরই তারা আমির হোসেনকে ধরে গণধোলাই দেয়।এদিকে আমির হোসেন বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। এই অনৈতিক কাজের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হবে।ফুলবাড়ী থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply