আনলিমিটেড নিউজ :: ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাবেল হোসেন পাপন এবং ইব্রাহিম হোসেন রনি।
শুক্রবার সকালে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে রাজধানীর সদরঘাট সাইকেল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজীবুল্লাহ হীরু, মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক হানিফ আকন্দ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান দ্বিতীয় অধিবেশনে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পদে জাবেল হোসেন পাপন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি, সহসভাপতি পদে দ্বীন ইসলাম, ইমাম হোসেন বাতাসী, মোহাম্মদ আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পদে মো. আবু তাহের, মো. আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. রাজু আহমেদকে নির্বাচিত করেন।
রধান অতিথি যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ক্ষিপ্রতা আছে বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব রাজনীতিতে এক জলজ্যন্ত রোল মডেল। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে কটাক্ষ করে বিএনপি নেত্রীর দেওয়া নেতিবাচক বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে জনগণ জানতে চায়- ম্যাডাম, দেশ বিক্রি কীভাবে হয়? যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর থেকেই বিএনপি নেত্রী ধুয়ো তুলেছেন দেশ বিক্রি করে আসা হয়েছে ভারতের কাছে! অবশ্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিষয়টি নতুন কিছু নয়। বরাবরই আওয়ামী লীগের কুটনৈতিক সাফল্যের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে বিকল্প হিসেবে ভারত বিরোধীতাকেই পুঁজি করেছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। কিন্তু বাইরে ভারতবিরোধিতা আর ভেতরে ভেতরে ভারতের সঙ্গে নতজানু সখ্য গড়ে তুলতে চেয়েছে সবাই। আর তা পারেনি বলেই আওয়ামী লীগের সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বিভিন্ন সময়। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ বার ভারত সফর করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার প্রধান। কিন্তু সাম্প্রতিক সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সম্মান পেয়েছেন তা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশ যে ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রটোকল ভেঙে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে তিনি স্বয়ং উপস্থিত হন পালাম বিমানবন্দরে। এর আগে প্রটোকল ভেঙে শুধুমাত্র দুজন ব্যক্তিকে বরণ করে নিয়েছিলেন মোদী। একজন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং আরেকজন অরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ। যুবলীগ চেয়ারম্যান প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, বেগম জিয়া কি ভারত সরকারের বন্ধুত্বের স্পষ্ট বার্তা বুঝতে পারেননি? রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে দেওয়া ভারতের এই সম্মান কি দেশ বিক্রির ইঙ্গিত দেয় নাকি বন্ধুত্বের? ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ আন্তরকিতা কি দেশ বিক্রির জন্য নাকি পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা? সহযোগিতা চুক্তি কি দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র? আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে বাংলাদেশ এখন ভারতের সম্ভ্রান্ত সহযোগী। এটা কি দেশ বিক্রির লক্ষণ নাকি বাংলাদেশের কুটনৈতিক সাফল্য? প্রতিবেশীর সঙ্গে আত্মমর্যাদা রেখে বন্ধুত্ব কি দেশ বিক্রি? যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, বেগম জিয়া চোখ খুলুন। আজকে আন্তর্জাতিক কুটনীতিতে বাংলাদেশ সংহত অবস্থান এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দেশকে এগিয়ে নিতে না পারেন অন্তত দেশের এই অগ্রাযাত্রাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করবেন না।
Leave a Reply